সিলেটে ১০ নম্বর কূপে মিলেছে তেল-গ্যাসের সন্ধান
বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় :
১০-১২-২০২৩ ০৩:০২:৪১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১০-১২-২০২৩ ০৩:০৭:০৬ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীতসচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সিলেট-১০ নম্বর কূপে ২ হাজার ৫৭৬ মিটার গভীরে খনন সম্পন্ন করার পর গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। নিচের স্তরটি ২৫৪০-২৫৫০ মিটার পরীক্ষা করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া যায়। এ ছাড়া ফ্লোয়িং প্রেসার ৩ হাজার ২৫০ পিএসআই।
নসরুল হামিদ জানান, গ্যাসের মজুতের পরিমাণ ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট। ২৪৬০-২৪৭৫ মিটারে আরও একটি ভালো গ্যাস স্তর পাওয়া যায়। এখানে পরীক্ষা করলে ২৫-৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।
১০ নম্বর কূপে ২ হাজার ৫৭৬ মিটার গভীরে খনন সম্পন্ন হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত১০ নম্বর কূপে ২ হাজার ৫৭৬ মিটার গভীরে খনন সম্পন্ন হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিমন্ত্রী জানান, ২২৯০-২৩১০ মিটারে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এ ছাড়া ১৩৯৭-১৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরও একটি জোন পাওয়া যায়, যেখানে গত শুক্রবার পরীক্ষা করে তেলের উপস্থিতি পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে এর এপিআই গ্রাভিটি ২৯.৭ ডিগ্রি।
পরীক্ষা করলে ২৫-৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীতপরীক্ষা করলে ২৫-৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ছবি:
এ ছাড়া সেলফ প্রেসারে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যায়। পরীক্ষা সম্পন্ন হলে তেলের মজুত জানা যাবে। ২৫৪০ এবং ২৪৬০ মিটার গভীরতায় একযোগে উৎপাদন করা হলে প্রায় ৮-১০ বছর স্থায়ী করবে। গড় ভারিত মূল্য হিসেবে এর মূল্য প্রায় ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যদি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে উৎপাদন করা হয় তাহলে ১৫ বছরের অধিক সময় পর্যন্ত স্থায়ী হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin
কমেন্ট বক্স